বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জেট দুর্ঘটনার খবর: সোমবার ঢাকার একটি স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমানের ভেঙে পড়ে ১৯ জন নিহত এবং ১৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
ঢাকার উত্তর উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে দুপুর ১:০৬ মিনিটে F-7 BGI প্রশিক্ষণ বিমানটি আকাশে ওঠে ।
সেনাবাহিনীর বিভাগ জানিয়েছে, “উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর F-7 BGI প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনূস শোক প্রকাশ করেছেন এবং এই ঘটনাকে “জাতির জন্য গভীর শোকের মুহূর্ত” বলে অভিহিত করেছেন।
“শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক বার্তারাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ।আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সকল কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশ প্রদান করছি।সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।”——প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনূস
দুর্ঘটনার সময় উপস্থিত না থাকা ছাত্রী রফিকা তাহা ফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন যে, প্রায় ২,০০০ শিক্ষার্থীর এই স্কুলে প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হয়। ১৬ বছর বয়সী ওই ছাত্রী বলেন, “টিভিতে ভিডিও দেখে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দিন সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের সাথে দেখা করেছেন।